বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ বহুল প্রতীক্ষিত করোনাভাইরাসের টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু হচ্ছে আজ। এটি একটি বড় সুখবর। টিকাদানের আনুষ্ঠানিক এ কার্যক্রম প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের কথা রয়েছে।
ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার এই টিকা ভারতের পক্ষ থেকে উপহার হিসাবে ২০ লাখ ডোজ এবং বাণিজ্যিক চুক্তির ৫০ লাখ, মোট ৭০ লাখ ডোজ ইতোমধ্যেই দেশে এসে পৌঁছেছে। জানা গেছে, ডিজিটাল টিকা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ‘সুরক্ষা’য় অনলাইনে নিবন্ধন ছাড়া টিকা দেওয়া হবে না।
‘সুরক্ষা’র প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এতে সেলফ রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে অনলাইনে নিবন্ধন এবং টিকার কার্ড ডাউনলোডের ব্যবস্থা রয়েছে। এসএমএসের মাধ্যমে নিবন্ধনকৃত ব্যক্তিকে টিকাদানের তারিখ ও তথ্য জানিয়ে দেওয়া হবে। জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ও জন্মতারিখ ব্যবহার করে নিবন্ধন সম্পন্ন করার কাজটি তেমন কঠিন নয়।
‘সুরক্ষা’ ভ্যাকসিন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম যেভাবে কাজ করবে, তাতে এটা স্পষ্ট যে পুরো প্রক্রিয়াটি সুশৃঙ্খলভাবেই সম্পন্ন হবে। কিন্তু যারা কম্পিউটার বা মোবাইল ফোন ব্যবহারে অতটা দক্ষ নন, এমন নাগরিকদের কাছে নিবন্ধন সম্পন্ন করার বিষয়টি জটিল মনে হতে পারে। এ ক্ষেত্রে টিকা কার্যক্রমে যুক্ত হতে আগ্রহী প্রত্যন্ত অঞ্চলের স্বল্প শিক্ষিত বাসিন্দাদের যাতে কোনো রকম সমস্যা না হয়, সে জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
করোনার টিকা সংরক্ষণে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এ বিষয়ে যাতে কোনো রকম সমস্যা সৃষ্টি না হয় সে জন্য আগে থেকেই যথেষ্ট প্রস্তুতি নেওয়ার কথা।
এ ক্ষেত্রে কোনো ঘাটতি রয়েছে কিনা তা যাচাই করে দেখা দরকার। করোনার টিকা প্রদানের প্রশিক্ষণও ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। যেহেতু কর্তৃপক্ষ ব্যতিক্রমী একটি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে যাচ্ছে, সেহেতু এ কাজে ব্যাপক প্রস্তুতির পরও সংশ্লিষ্টদের বিশেষভাবে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। এ বিষয়ক কার্যক্রমে যাতে কোনো ধরনের অনিয়মের ঘটনা না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
করোনার টিকার বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য সময়মতো দেশবাসীকে জানানোর পদক্ষেপ নেওয়া না হলে কোনো ব্যক্তি বা মহল গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করতে পারে। করোনার টিকা নেওয়ার আগে কী ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে, তা নিয়ে যথেষ্ট আলোচনা হয়েছে এবং তা অব্যাহত রয়েছে। এসব খবর বারবার প্রচারিত হওয়া সত্ত্বেও অনেকের কাছেই তা দেরিতে পৌঁছাতে পারে।
কাজেই কোনো ব্যক্তিকে টিকা প্রদানের আগে সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্যকর্মীদেরই বিশেষভাবে খোঁজখবর নিতে হবে, যাকে টিকা প্রদান করা হচ্ছে ওই ব্যক্তি কোনো জটিল রোগে ভুগছেন কিনা। টিকা প্রদানের মধ্য দিয়ে দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমে আসবে, এটাই সবার প্রত্যাশা।