ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জনগণের কল্যাণে এমপিদের কাজ করার আহ্বান স্পিকারের

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে তাদের প্রত্যাশা পূরণ ও কল্যাণ নিশ্চিতকরণে নব-নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, পাঁচ বছর পূর্ণ হলে কৃতকর্ম নিয়েই জনগণের কাছে তাদের ফিরে যেতে হবে। আর জনগণের ভোটে নির্বাচিত হওয়ার মাধ্যমেই সংসদ সদস্যগণ কাজ করার সুযোগ পান। সংসদ ভবনস্থ শপথ কক্ষে ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদে নব-নির্বাচিত সংসদ সদস্যগণের অংশগ্রহণে ওরিয়েন্টেশন কর্মসূচি’-র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রোববার প্রধান অতিথি হিসেবে স্পিকার এসব কথা বলেন। স্পিকার বলেন, গত ৭ জানুয়ারি অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ। নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত আমাদের স্বাধীন ভূখন্ড। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের দিয়ে গেছেন লাল সবুজের পতাকা ও অনন্য একটি সংবিধান। তাঁর সুদীর্ঘ চব্বিশ বছরের সংগ্রাম, জেল-জুলুম, অত্যাচার সহ্য করার বিনিময়ে বাংলাদেশের জন্ম। ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ আমাদের বিজয় অর্জিত হলেও বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে ১০ জানুয়ারি ১৯৭২ স্বাধীন সোনার বাংলায় ফিরে আসেন। তিনি বলেন, সংসদ ভবন একটি অনন্য স্থাপত্য শিল্প। অনেক রক্তের বিনিময়ে আমাদের শাসনতন্ত্র। এই শাসনতন্ত্র শহীদের রক্তে ভেজা। সংবিধানই সর্বোচ্চ আইন। এর আলোকেই রাষ্ট্র পরিচালিত হয়। সংবিধানের চারটি মূলনীতি- জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্ম-নিরপেক্ষতা। আমাদের দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র প্রচলিত। আমাদের জাতীয় সংসদ এককক্ষ বিশিষ্ট। নির্বাহী বিভাগ ও সরকারের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা আইনসভার সদস্যদের অন্যতম কাজ। ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী আরও বলেন, আমাদের সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মোট পাঁচবারের ও টানা চারবারের প্রধানমন্ত্রী। জনগণের ভোট ও সমর্থন নিয়ে তিনি নির্বাচিত হন। জাতীয় সংসদের প্রতিটি ব্যাপারে তিনি অত্যন্ত সচেতন ও মনোযোগী। প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের প্রশ্নোত্তর পর্বের মাধ্যমে সংসদ প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট ও উন্নত বাংলাদেশ গঠনে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে স্মার্ট সংসদ ও দেশ গড়ে তুলতে সংসদ সদস্যদের একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান স্পীকার। জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আবদুস সালামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু ও চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী বক্তব্য রাখেন। কৃষিমন্ত্রী মো. আবদুস শহীদ অনুষ্ঠানে সংসদীয় কার্যক্রম সম্পর্কে সেশন এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম অনুষ্ঠানে প্রশ্নোত্তর পর্ব পরিচালনা করেন। অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন ও হুইপ নজরুল ইসলাম বাবু এমপি উপস্থিত ছিলেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নব-নির্বাচিত সংসদ সদস্যগণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনগণের কল্যাণে এমপিদের কাজ করার আহ্বান স্পিকারের

আপডেট টাইম : ০৫:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৪

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে তাদের প্রত্যাশা পূরণ ও কল্যাণ নিশ্চিতকরণে নব-নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, পাঁচ বছর পূর্ণ হলে কৃতকর্ম নিয়েই জনগণের কাছে তাদের ফিরে যেতে হবে। আর জনগণের ভোটে নির্বাচিত হওয়ার মাধ্যমেই সংসদ সদস্যগণ কাজ করার সুযোগ পান। সংসদ ভবনস্থ শপথ কক্ষে ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদে নব-নির্বাচিত সংসদ সদস্যগণের অংশগ্রহণে ওরিয়েন্টেশন কর্মসূচি’-র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রোববার প্রধান অতিথি হিসেবে স্পিকার এসব কথা বলেন। স্পিকার বলেন, গত ৭ জানুয়ারি অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ। নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত আমাদের স্বাধীন ভূখন্ড। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের দিয়ে গেছেন লাল সবুজের পতাকা ও অনন্য একটি সংবিধান। তাঁর সুদীর্ঘ চব্বিশ বছরের সংগ্রাম, জেল-জুলুম, অত্যাচার সহ্য করার বিনিময়ে বাংলাদেশের জন্ম। ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ আমাদের বিজয় অর্জিত হলেও বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে ১০ জানুয়ারি ১৯৭২ স্বাধীন সোনার বাংলায় ফিরে আসেন। তিনি বলেন, সংসদ ভবন একটি অনন্য স্থাপত্য শিল্প। অনেক রক্তের বিনিময়ে আমাদের শাসনতন্ত্র। এই শাসনতন্ত্র শহীদের রক্তে ভেজা। সংবিধানই সর্বোচ্চ আইন। এর আলোকেই রাষ্ট্র পরিচালিত হয়। সংবিধানের চারটি মূলনীতি- জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্ম-নিরপেক্ষতা। আমাদের দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র প্রচলিত। আমাদের জাতীয় সংসদ এককক্ষ বিশিষ্ট। নির্বাহী বিভাগ ও সরকারের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা আইনসভার সদস্যদের অন্যতম কাজ। ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী আরও বলেন, আমাদের সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মোট পাঁচবারের ও টানা চারবারের প্রধানমন্ত্রী। জনগণের ভোট ও সমর্থন নিয়ে তিনি নির্বাচিত হন। জাতীয় সংসদের প্রতিটি ব্যাপারে তিনি অত্যন্ত সচেতন ও মনোযোগী। প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের প্রশ্নোত্তর পর্বের মাধ্যমে সংসদ প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট ও উন্নত বাংলাদেশ গঠনে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে স্মার্ট সংসদ ও দেশ গড়ে তুলতে সংসদ সদস্যদের একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান স্পীকার। জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আবদুস সালামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু ও চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী বক্তব্য রাখেন। কৃষিমন্ত্রী মো. আবদুস শহীদ অনুষ্ঠানে সংসদীয় কার্যক্রম সম্পর্কে সেশন এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম অনুষ্ঠানে প্রশ্নোত্তর পর্ব পরিচালনা করেন। অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন ও হুইপ নজরুল ইসলাম বাবু এমপি উপস্থিত ছিলেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নব-নির্বাচিত সংসদ সদস্যগণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।