মুক্তি পেলে পালাতে পারেন পরী : তদন্ত কর্মকর্তা

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ মাদক মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত চিত্রনায়িকা পরীমণি ও তার সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দীপুকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক কাজী গোলাম মোস্তফা।

শুক্রবার (১৩ আগস্ট) আবেদনে তিনি বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় দুই দফা রিমান্ডে পরীমণি ‘গুরুত্বপূর্ণ’ তথ্য দিয়েছেন। তাই এ আসামিকে কারাগারে আটক রাখা প্রয়োজন। জামিনে মুক্তি পেলে পরী পালাতে পারেন।
এদিকে, রাজধানীর বনানী থানায় দায়ের করা মাদক মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমণির জামিনের আবেদন করেছেন তার আইনজীবী মজিবুর রহমান। শুক্রবার (১৩ আগস্ট) জামিনের আবেদন শুনানি ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ধীমান চন্দ্র মণ্ডলের আদালতে অনুষ্ঠিত হবে।

আইনজীবী মজিবুর রহমান জামিনের আবেদনে বলেছেন, আসামি পরীমণি একজন প্রথম সারির চিত্রনায়িকা। তিনি ‘ফোর্বস ম্যাগাজিন’ ডিজিটাল তারকা হিসেবে বিশ্বের ১০০ জনের মধ্যে আসামির নাম রয়েছে। যা বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের জন্য গৌরবজনক। আসামি জেলহাজতে আটক থাকলে চলচ্চিত্রের অঙ্গনের অপূরণীয় ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়া বিভিন্ন কোম্পানি ও চলচ্চিত্র নির্মাতাদের সাথে যে চুক্তি হয়েছে তা ভঙ্গেরও সম্ভাবনা রয়েছে। সম্প্রতি ‘প্রীতিলতা’ নামক সরকারি সিনেমার জন্য ফটোশুট হয়েছে। এছাড়াও কয়েকটি চলচ্চিত্রের শুটিংয়ের শিডিউল ভেঙে পড়েছে।

আবেদনে আরও বলা হয়, পরীমণির বিরুদ্ধে ১৮.৫ লিটার মদ ও অন্যান্য মাদক রাখার অভিযোগ করা হয়েছে, যা আসামির দখল থেকে উদ্ধার করা হয় নাই।

আবেদনে বলা হয়েছে, পরীমণি একজন ‘প্যানিক অ্যাটাক’র রোগী। দীর্ঘ সময় পুলিশ কাস্টডিতে থেকে অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। চিকিৎসার স্বার্থে আসামিকে জামিন দেওয়া হোক। পরীমণিকে ৬ দিন রিমান্ডে রাখার পর তার কাছ থেকে কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদঘাটন করতে পারেনি। পরীমণি একজন স্বনামধন্য ব্যক্তি। ফলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আসামি জামিন পেতে পারেন।

আইনজীবী মজিবুর রহমান জামিনের আবেদনে আরও বলেন, পরীমণি অভিযান পরিচালনার সময় দ্য আর্মড পুলিশ ব্যাটেলিয়ন অর্ডিন্যান্স ১৯৭৯ এর ৬ এবং ৬এ ধারায় লঙ্ঘন করে অভিযান পরিচালনা করা হয়। যার ফলে একটি ভিত্তিহীন মামলা দায়ের করা হয় তার বিরুদ্ধে। তাই তিনি জামিন পেতে পারেন।

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর