শীত আসার সঙ্গে সঙ্গে চট্টগ্রামের রাউজানের জলাশয়গুলোতে ঝাঁকে ঝাঁকে আসতে শুরু করেছে অতিথি পাখি। পাখা ঝাপটিয়ে কিচিমিচি শব্দে পরিবেশকে জাগিয়ে তুলেছে। রঙ-বেরঙের পাখিগুলো দিঘি, বিল ও পুকুরের জলাশয়ে আশ্রয় নিয়েছে।
পাখি বিশেষজ্ঞরা বলছেন,‘ঝড়, বৃষ্টি, তুষারপাত থেকে বাঁচতে হাজার হাজার মাইল পথ অতিক্রম করে কিছু সময়ের জন্য অতিথি পাখি ঝাঁক বেঁধে আমাদের দেশে আসে। ৬০০ থেকে ১৩০০ মিটার উঁচু দিয়ে উড়তে পারে এসব পাখি। দিনে-রাতে এরা প্রায় ২৫০ কিলোমিটার উড়তে পারে। ইংল্যান্ডের নর্থ হ্যামশায়ার, সাইবেরিয়া কিংবা এন্টার্টিকারসহ বিভিন্ন দেশের তীব্র শীত থেকে বাঁচতেই মূলত দক্ষিণের কম শীতের দেশে যায় পাখিরা।’
রাউজান উপজেলার বড় বড় জলাশয় এখন ভিন দেশি অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর। ভোরে পাখির কিচিমিছি শব্দে মানুষের ঘুম ভাঙ্গছে। স্থানীয়রা জানিয়েছে, শীতের আগমনী বার্তায় প্রতি বছর হাজার হাজার মাইল পথ অতিক্রম করে অতিথি পাখিগুলো রাউজানের বড় বড় পুকুর ও দিঘিতে এসে বসবাস শুরু করে। এসব পাখি দল বেঁধে জলাশয়ে নেমে মনের সুখে সাঁতরিয়ে বেড়ায়।
নোয়াপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরোয়ার্দি সিকদার জানান, প্রতিছরের মতো শীতের শুরুতে অতিথি পাখি এই দিঘিতে এসে পড়েছে। আগে প্রাচীন এই দিঘিটি সংষ্কারবিহীণ ছিল। গত কয়েক বছর আগে দিঘিটি পূনরায় খনন করে দিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রনালয় সর্ম্পকিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবি এম ফজলে করিম চৌধুরী। আনুমানিক ২৫ একর আয়তনের দিঘিটির স্বচ্ছ পানিতে ভিন দেশি অতিথির পাখির ছুটাছুটি সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপভোগ করছেন পাখিপ্রেমিক মানুষ।
রাউজান পরিবেশ দুষণ প্রতিরোধ আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক এম.এন আবছার বলেছেন, রাউজানের পুকুর দিঘিতে আশ্রয় নেওয়া পাখিগুলো নিবিঘ্নে ছুটাছুটি করলেও কেউ এগুলোকে ঢিল ছুড়ে বিরক্ত করে না। কোনো শিকারি অসৎ উদেশ্যে জলাশয়ের কাছে আসে না। অতিথি পাখির নিরাপত্তা বিধানে প্রশাসন থেকে নিজ এলাকার মানুষকে আগে থেকেই নির্দেশনা দেওয়া আছে।