ঢাকা , শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বেসিস সদস্যদের কর অব্যাহতি সনদ বেসিস থেকে প্রদানের প্রস্তাব

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ অর্থমন্ত্রীর কাছে তথ্যপ্রযুক্তিসংশ্লিষ্ট সংশোধিত বাজেট প্রস্তাব আনুষ্ঠানিকভাবে পেশ করেন বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর। বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় বিস্তারিত আলোচনায় এসব প্রস্তাব পেশ করা হয়। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যদের মধ্যে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সচিব সুবীর কিশোর চৌধুরী, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য শুল্কনীতি ও আইসিটি ফিরোজ শাহ আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর সংশোধিত প্রস্তাব উত্থাপন করে বলেন, Operating Systems; Database, Development tools এবং Security Software  আমদানির ওপর থেকে শুল্ক কমানো হলেও দেশে উৎপাদিত সফটওয়্যার শিল্পকে বাঁচাতে Other Computer Software-এর আমদানি শুল্ক না কমিয়ে বরং তা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে । পাশাপাশি, তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর সেবার (ITES) ওপর আলোচ্য বাজেটে মূসক বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। তিনি তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর সেবার ওপর থেকে মূসক সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহারের অনুরোধ করেন। একই সঙ্গে অবিলম্বে ভ্যাট অটোমেশন সফটওয়্যারের মাধ্যমে ভ্যাট গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করার দাবি জানান।

তিনি বলেন, ২০২৪ সাল পর্যন্ত আইটি/আইটিইএসের জন্য করপোরেট ট্যাক্স মওকুফ রয়েছে। এজন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে কর অব্যাহতি সনদ সংগ্রহ করতে নানাবিধ জটিলতা হয়। এজন্য ওই প্রত্যয়নপত্র বেসিস থেকে ইস্যু করার জন্য বেসিসকে দায়িত্ব দেওয়ার প্রস্তাব করেন তিনি। পাশাপাশি সব ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রায় আনা রপ্তানি আয়ের ওপর কোনো অগ্রিম আয়কর কর্তন না করার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে একটি পত্র জারির অনুরোধ করা হয়।

এছাড়াও বেসিস সভাপতি ইন্টারনেট সেবার ওপর ধার্য মূসক সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার করে প্রান্তিক পর্যায়ের গ্রাহকদের কাছে ইন্টারনেট সহজলভ্য করে ২০২১ সালের মধ্যে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার জন্য অর্থমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সভায় ‘অনলাইনে পণ্য বিক্রয়’ এবং ‘ভার্চুয়াল বিজনেস’ এর সংজ্ঞা স্পষ্টকরণ করে ই-কমার্স খাতের ব্যবসা সম্প্রসারণে অর্থমন্ত্রীর সহায়তা কামনা করা হয়।

সভায় আইটি ও আইটিইএস রপ্তানিতে নগদ প্রণোদনার জন্য আবেদনের সময়সূচি যৌক্তিক কারণে সেপ্টেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত বাড়ানোর অনুরোধ করেন বেসিস সভাপতি। সভায় বেসিসের ওই প্রস্তাবগুলো অর্থমন্ত্রী, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী এবং এনবিআর চেয়ারম্যান মনোযোগ সহকারে শোনার পর, সংশোধিত প্রস্তাবগুলো অন্তর্ভুক্তকরণের ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

বেসিস সদস্যদের কর অব্যাহতি সনদ বেসিস থেকে প্রদানের প্রস্তাব

আপডেট টাইম : ১০:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ জুন ২০১৮

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ অর্থমন্ত্রীর কাছে তথ্যপ্রযুক্তিসংশ্লিষ্ট সংশোধিত বাজেট প্রস্তাব আনুষ্ঠানিকভাবে পেশ করেন বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর। বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় বিস্তারিত আলোচনায় এসব প্রস্তাব পেশ করা হয়। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যদের মধ্যে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সচিব সুবীর কিশোর চৌধুরী, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য শুল্কনীতি ও আইসিটি ফিরোজ শাহ আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর সংশোধিত প্রস্তাব উত্থাপন করে বলেন, Operating Systems; Database, Development tools এবং Security Software  আমদানির ওপর থেকে শুল্ক কমানো হলেও দেশে উৎপাদিত সফটওয়্যার শিল্পকে বাঁচাতে Other Computer Software-এর আমদানি শুল্ক না কমিয়ে বরং তা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে । পাশাপাশি, তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর সেবার (ITES) ওপর আলোচ্য বাজেটে মূসক বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। তিনি তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর সেবার ওপর থেকে মূসক সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহারের অনুরোধ করেন। একই সঙ্গে অবিলম্বে ভ্যাট অটোমেশন সফটওয়্যারের মাধ্যমে ভ্যাট গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করার দাবি জানান।

তিনি বলেন, ২০২৪ সাল পর্যন্ত আইটি/আইটিইএসের জন্য করপোরেট ট্যাক্স মওকুফ রয়েছে। এজন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে কর অব্যাহতি সনদ সংগ্রহ করতে নানাবিধ জটিলতা হয়। এজন্য ওই প্রত্যয়নপত্র বেসিস থেকে ইস্যু করার জন্য বেসিসকে দায়িত্ব দেওয়ার প্রস্তাব করেন তিনি। পাশাপাশি সব ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রায় আনা রপ্তানি আয়ের ওপর কোনো অগ্রিম আয়কর কর্তন না করার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে একটি পত্র জারির অনুরোধ করা হয়।

এছাড়াও বেসিস সভাপতি ইন্টারনেট সেবার ওপর ধার্য মূসক সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার করে প্রান্তিক পর্যায়ের গ্রাহকদের কাছে ইন্টারনেট সহজলভ্য করে ২০২১ সালের মধ্যে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার জন্য অর্থমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সভায় ‘অনলাইনে পণ্য বিক্রয়’ এবং ‘ভার্চুয়াল বিজনেস’ এর সংজ্ঞা স্পষ্টকরণ করে ই-কমার্স খাতের ব্যবসা সম্প্রসারণে অর্থমন্ত্রীর সহায়তা কামনা করা হয়।

সভায় আইটি ও আইটিইএস রপ্তানিতে নগদ প্রণোদনার জন্য আবেদনের সময়সূচি যৌক্তিক কারণে সেপ্টেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত বাড়ানোর অনুরোধ করেন বেসিস সভাপতি। সভায় বেসিসের ওই প্রস্তাবগুলো অর্থমন্ত্রী, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী এবং এনবিআর চেয়ারম্যান মনোযোগ সহকারে শোনার পর, সংশোধিত প্রস্তাবগুলো অন্তর্ভুক্তকরণের ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন।