বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ শুক্লপক্ষ এলেই পৃথিবীর দিকে মুখ করে চাঁদমামা উঁকি দেয়। মা শিশুকে চাঁদ দেখিয়ে ঘুম পাড়ায়। প্রেমিক তার প্রেমিকার মন পেতে চাঁদ এনে দিতে চায়। এতদিন তো সবাই জানত, চাঁদ হলো পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ। এবার কি সেই ধারণা বদলের সময় হয়ে গেল? কারণ হাঙ্গেরির একদল বিজ্ঞানী দাবি তুলেছে, পৃথিবীর চাঁদ নাকি তিনটি! একটা চাঁদ তো আমরা দেখেই থাকি; অন্য দুটি চাঁদ নাকি ধুলার তৈরি।
বিজ্ঞান বিষয়ক বিখ্যাত পত্রিকা ‘মান্থলি নোটিসেস অব দ্য রয়্যাল অ্যাস্ট্রোনমিকাল সোসাইটি’ এ হাঙ্গেরির একদল বিজ্ঞানীর দাবি, চাঁদ যত দূরে, সেই প্রায় ৪ লক্ষ কিলোমিটার দূরত্বেই পৃথিবীর চারধারে ঘুরছে ধুলোর মেঘগুলো। কক্ষপথে চাঁদের আগে-পরেই তাদের ঘোরাফেরা চলছে। ধুলোর তৈরি বিধায় এই দুই চাঁদের দেখা পাওয়া দুঃসাধ্য।
পোলিশ জ্যোতির্বিজ্ঞানী কিজিমিশ কর্দিলেভস্কি ১৯৬১ সালে এই ধুলার তৈরি চাঁদের একটা আভাস পান। কিন্তু এবার গবেষকদের দাবি, উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন পোলারাইজড ফিল্টার সিস্টেম বসিয়ে তোলা ছবিতে তাদের অস্তিত্বের প্রায় নিশ্চিত প্রমাণ পাওয়া গেছে। কিন্তু এদের কি আদৌ ‘চাঁদ’ বলা চলে? যদি তাই হয় তবে পৃথিবীর সকল পাঠ্যপুস্তকই বদলে যাবে। আর আকাশে উঁকি দেওয়া চাঁদমামার একচ্ছত্র আধিপত্য সংকটেই পড়ে যাবে।
তবে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব অ্যাস্ট্রোফিজিক্সের অধ্যাপক সুজন সেনগুপ্ত মনে করেন, ‘এই দুটিকে উপগ্রহ বলা উচিত নয়। এমনকি এরা চাঁদের গোত্রভুক্তও নয়। ওই দুটি কোনও কঠিন বস্তু নয়। সম্ভবত পৃথিবী তৈরির সময়ে গ্যাসীয় পিণ্ড ছিটকে তৈরি হয়েছিল। সেটার আকৃতি উপগ্রহের মতো দেখায়।’ তবে এখনই কোনো কিছু চুড়ান্ত নয়।