ঢাকা , শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দ্রুত ধ্বংস হচ্ছে পৃথিবীর চেয়ে প্রায় সাড়ে ৪ গুণ বড় গ্রহ

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ পৃথিবীর চেয়ে প্রায় সাড়ে ৪ গুণ বড় আর ১৪ গুণ ভারী এমন এক গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা, যা একটি নক্ষত্রের প্রভাবে দ্রুত ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। নাসার হার্বল স্পেস টেলিস্কোপে ওই গ্রহটি ধরা পড়ে প্রায় ছয় বছর আগে। অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্স নামে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান-জার্নালের ১৩ ডিসেম্বর সংখ্যায় এই তথ্য জানোনো হয়েছে।

এতে বলা হয় গত ৬ বছর ধরে গ্রহটির উপর নজর রাখছিলেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। তারা দেখতে পান একটা সুবিশাল, ভারী গ্রহ কর্পূরের মতো অসম্ভব দ্রুত গতিতে হারিয়ে যাচ্ছে। হয়ে পড়ছে সর্বস্বান্ত।

যেভাবে ফুটতে ফুটতে কেটলির সব পানি উড়ে যায়, ঠিক সেভাবেই হারিয়ে যাচ্ছে নেপচুনের মতো চেহারার ওই ভারী গ্রহের বায়ুমণ্ডলের সবটুকু।

বিজ্ঞানীদের ধারনা গত ২০০ কোটি বছরে গ্রহটির বায়ুমণ্ডলের ৩৫ শতাংশই মহাকাশে বিলীন হয়ে গেছে। হারিয়ে গেছে বায়ুমণ্ডলে থাকা তার হাইড্রোজেনের অনেকটাই।

তাদের অনুমান, গ্রহটি প্রচুর পরিমাণে হারিয়ে ফেলেছে তার বায়ুমণ্ডলের হিলিয়াম গ্যাসও। সেই সঙ্গে হয়তো খোয়া গেছে তার বায়ুমণ্ডলের অনেক নীচের স্তরে থাকা কার্বনও।

গবেষকরা জানিয়েছেন বিশাল ওই গ্রহের পুরু বায়ুমণ্ডল গ্লিয়েসি- ৩৪৭০’ নামের একটি নক্ষত্রের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সেই সঙ্গে রয়েছে ১ হাজার ৭০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটেরও বেশি তাপমাত্রা।

বিজ্ঞানীদের মতে আমাদের চেয়ে ৯৭ আলোকবর্ষ (আলোর গতিতে ছুটলে এক বছরে যতটা দূরে যাওয়া যায়) দূরে ‘ক্যানসার’ নক্ষত্রপুঞ্জে থাকা সেই ভিনগ্রহের নাম ‘গ্লিয়েসি-৩৪৭০-বি’ বা, ‘জিজে-৩৪৭০-বি’। যার ওজন ও চেহারা প্রায় আমাদের সৌরমণ্ডলের অষ্টম গ্রহ নেপচুনের মতোই। ওই ভিনগ্রহের ভিতরে যে পরিমাণ জায়গা আছে তাতে ৫৭টা পৃথিবীকে ঢুকিয়ে দিলে তারপরও কিছুটা জায়গা খালি পড়ে থাকবে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

দ্রুত ধ্বংস হচ্ছে পৃথিবীর চেয়ে প্রায় সাড়ে ৪ গুণ বড় গ্রহ

আপডেট টাইম : ১০:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ পৃথিবীর চেয়ে প্রায় সাড়ে ৪ গুণ বড় আর ১৪ গুণ ভারী এমন এক গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা, যা একটি নক্ষত্রের প্রভাবে দ্রুত ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। নাসার হার্বল স্পেস টেলিস্কোপে ওই গ্রহটি ধরা পড়ে প্রায় ছয় বছর আগে। অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্স নামে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান-জার্নালের ১৩ ডিসেম্বর সংখ্যায় এই তথ্য জানোনো হয়েছে।

এতে বলা হয় গত ৬ বছর ধরে গ্রহটির উপর নজর রাখছিলেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। তারা দেখতে পান একটা সুবিশাল, ভারী গ্রহ কর্পূরের মতো অসম্ভব দ্রুত গতিতে হারিয়ে যাচ্ছে। হয়ে পড়ছে সর্বস্বান্ত।

যেভাবে ফুটতে ফুটতে কেটলির সব পানি উড়ে যায়, ঠিক সেভাবেই হারিয়ে যাচ্ছে নেপচুনের মতো চেহারার ওই ভারী গ্রহের বায়ুমণ্ডলের সবটুকু।

বিজ্ঞানীদের ধারনা গত ২০০ কোটি বছরে গ্রহটির বায়ুমণ্ডলের ৩৫ শতাংশই মহাকাশে বিলীন হয়ে গেছে। হারিয়ে গেছে বায়ুমণ্ডলে থাকা তার হাইড্রোজেনের অনেকটাই।

তাদের অনুমান, গ্রহটি প্রচুর পরিমাণে হারিয়ে ফেলেছে তার বায়ুমণ্ডলের হিলিয়াম গ্যাসও। সেই সঙ্গে হয়তো খোয়া গেছে তার বায়ুমণ্ডলের অনেক নীচের স্তরে থাকা কার্বনও।

গবেষকরা জানিয়েছেন বিশাল ওই গ্রহের পুরু বায়ুমণ্ডল গ্লিয়েসি- ৩৪৭০’ নামের একটি নক্ষত্রের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সেই সঙ্গে রয়েছে ১ হাজার ৭০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটেরও বেশি তাপমাত্রা।

বিজ্ঞানীদের মতে আমাদের চেয়ে ৯৭ আলোকবর্ষ (আলোর গতিতে ছুটলে এক বছরে যতটা দূরে যাওয়া যায়) দূরে ‘ক্যানসার’ নক্ষত্রপুঞ্জে থাকা সেই ভিনগ্রহের নাম ‘গ্লিয়েসি-৩৪৭০-বি’ বা, ‘জিজে-৩৪৭০-বি’। যার ওজন ও চেহারা প্রায় আমাদের সৌরমণ্ডলের অষ্টম গ্রহ নেপচুনের মতোই। ওই ভিনগ্রহের ভিতরে যে পরিমাণ জায়গা আছে তাতে ৫৭টা পৃথিবীকে ঢুকিয়ে দিলে তারপরও কিছুটা জায়গা খালি পড়ে থাকবে।