বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ এমন যন্ত্র কি আছে, যা স্মার্টফোন হিসেবে ব্যবহার করা যাবে আবার ভাঁজ করে স্মার্টওয়াচ হিসেবে হাতেও পরা যাবে? টিভি নির্মাতা হিসেবে পরিচিতি চীনা প্রতিষ্ঠান টিসিএল এমনই ভাঁজ করার সুবিধাযুক্ত স্মার্টফোন তৈরি করছে, যা স্মার্টওয়াচ হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে।
প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট সিনেট জানিয়েছে, টিসিএলের পেটেন্ট ও প্রতিষ্ঠানটির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখেছে, পাঁচ ধরনের ফোল্ডেবল ডিভাইস তৈরির কাজ করছে টিসিএল। এর মধ্যে দুটি ট্যাবলেট কম্পিউটার, দুটি স্মার্টফোন ও একটি হাইব্রিড ডিভাইস, যা ফোন ও স্মার্টওয়াচ হিসেবে ব্যবহার করা যায়। টিসিএলের তৈরি একটি ট্যাবলেট ভেতরের দিকে ও অন্যটি বাইরের দিকে ভাঁজ করার সুবিধা থাকবে। স্মার্টফোনের ক্ষেত্রেও একই রকমের সুবিধা থাকবে। তবে তা অনেকটাই ফ্লিপ ফোনের মতো কাজ করবে। তবে হাইব্রিড ডিভাইসটি হবে লম্বা ও সরু, এটি বাঁকা করে হাতে পরা যাবে।
বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, ভাঁজ করার সুবিধাযুক্ত স্মার্টফোনে ক্রেতাদের আগ্রহ বাড়ছে। একে স্মার্টফোনের নকশার ক্ষেত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন বলা হচ্ছে। এখন ক্রেতারা সহজে ফোন পরিবর্তন করছেন না। ফোনের নতুন উদ্ভাবন না আসায় অনেকেই নতুন স্মার্টফোনে আগ্রহ হারাচ্ছেন। ফোল্ডেবল ফোনে মানুষের আগ্রহ ফিরতে পারে।
টিসিএলের কর্মকর্তারা সিনেটকে জানিয়েছেন, ২০২০ সাল নাগাদ ভাঁজ করা স্মার্টফোন বাজারে আনতে পারেন তাঁরা। এখন নানা রকম ডিভাইস নিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে।
টিসিএলের বৈশ্বিক বিপণন বিভাগের কর্মকর্তা স্টেফান স্ট্রেইট বলেন, এটা শুধু স্মার্টফোন হবে না। টিভিসহ গৃহস্থালির অন্যান্য পণ্য এ প্রযুক্তি থেকে সুবিধা পাবে।
টিসিএল ছাড়াও অনেক অ্যান্ড্রয়েড ফোন নির্মাতা ফোল্ডেবল ডিভাইস নিয়ে কাজ করছে। গুগল কর্তৃপক্ষও ও ধরনের ডিভাইসে অ্যান্ড্রয়েড সমর্থন দেওয়ার কথা বলেছেন। ইতিমধ্যে রয়োল নামের একটি প্রতিষ্ঠান ফ্লেক্সিপাই নামের ভাঁজ করা ফোন বিক্রি শুরু করে দিয়েছে। এতে ৬ জিবি র্যাম রয়েছে। এর দাম ১ হাজার ৩১৮ মার্কিন ডলার। এটা দেখতে বইয়ের মতো।
এলজি, স্যামসাং ছাড়াও অনেক নির্মাতা এ ধরনের ডিভাইস তৈরি করছে। এমনকি অ্যাপলও ফোল্ডেবল ফোনের পেটেন্ট করিয়েছে। স্যামসাং গ্যালাক্সি এক্স ও এফ নামে এ ধরনের ট্যাবলেট তৈরি করছে বলে গুঞ্জন রয়েছে। শিগগিরই এ বিষয়ে জানাবে তারা।