ঢাকা , শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আজ রাতের আকাশে দেখা যাবে ‘সুপারমুন’

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ আজ রাতের আকাশে দেখা যাবে সুপারমুন। চলতি বছর এটিই সর্বশেষ সুপারমুন। মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার মতে, আজ চাঁদকে স্বাভাবিকের চেয়ে ১৪ শতাংশ বড় দেখাবে। পৃথিবীর বেশ কাছে চলে আসবে বলে চাঁদকে এতো বড় দেখাবে। আজ চাঁদ পৃথিবীর খুব কাছ ঘেঁষে প্রদক্ষিণ করবে। এ কারণে অন্যসব দিনের ঔজ্জ্বল্যের চেয়ে আজ রাতের চাঁদের ঔজ্জ্বল্য ৩০ শতাংশ বেশি, বলছে নাসা।

পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকেই আজকের এই সুপারমুনের সৌন্দর্য উপভোগ করা যাবে বলে জানিয়েছেন নাসা। তবে এর জন্য আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকা প্রয়োজন। চলতি বছর এটাই সর্বশেষ সুপারমুন। এরপর এমন একটি সুপারমুন দেখার সৌভাগ্য মিলবে ২০৩০ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি।

অন্যদিকে আজ পৃথিবীতে দিন রাত সমান। অর্থাৎ আজ পৃথিবীর দুই গোলার্ধই ১২ ঘণ্টা করে আলো পাবে এবং ১২ ঘণ্টা পাবে না। ২১ মার্চের মতো ২৩ সেপ্টেম্বরও দিন রাত সমান হয়ে থাকে।

এর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা হলো-সূর্যের চারদিকে পরিক্রমণকালে পৃথিবীর মেরু রেখা ধ্রুবতারামুখী হয়ে কক্ষপথের সঙ্গে সব সময় ৬৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি কোণ করে হেলে থাকে। আবার নিরক্ষরেখা বা বিষুবরেখার সমতল কক্ষপথের সঙ্গে ২৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি কোণে হেলে থাকে।

উল্লেখ্য, সুপারমুন চাঁদের একটি দশা বা অবস্থা। চাঁদ যখন পৃথিবীর খুব কাছে অবস্থান করে তখন চাঁদকে পৃথিবী থেকে তুলনামূলকভাবে অনেক বড় আর উজ্জ্বল দেখায়। পূর্ণ গোলাকার চাঁদের এই অবস্থাকে সুপারমুন বলা হয়।

সুপারমুনের কোন প্রচলিত বাংলা নেই। এটাকে অনেকে অতিকায় চাঁদ বলে থাকেন। পৃথিবী-চন্দ্র-সূর্য সিস্টেমে অতিকায় চাঁদের টেকনিক্যাল নাম হচ্ছে perigee-syzygy’। সুপারমুন শব্দটার উৎপত্তি আধুনিক জ্যোতিশাস্ত্রে, জ্যোতির্বিদ্যার সঙ্গে এর কোন যোগসূত্র নেই।

চন্দ্র, সূর্য, অবস্থানের কারণে পৃথিবীতে জোয়ার ভাঁটা হয়। সুপারমুনের কারণে পৃথিবীতে ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের মত প্রাকৃতিক দূর্যোগ সংঘটিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এই ধরণের কোনো দূর্যোগের সংবাদ পাওয়া যায় নাই।

১৯৯৩ সালের সুপারমুন সাধারণ চাঁদ থেকে ২০ গুণ অধিক উজ্জ্বল এবং ১৫ গুণ বড় ছিলো। পৃথিবী থেকে সুপারমুন বা অতিকায় চাঁদ সর্বশেষ দেখা গেছে ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫। চাঁদের সুপারমুনের বিপরীত দশা মাইক্রোমুন যা টেকনিক্যালি apogee-syzygy নামে পরিচিত। সুপারমুনের রাতে জ্যোছনায় পৃথিবী প্লাবিত হয়। অন্যদিকে মাইক্রোমুনে পৃথিবী থাকে অন্যান্য অন্ধকারাচ্ছন্ন রাতের মত। তাই মাইক্রোমুন সুপারমুনের মত এত পরিচিতি পায়নি।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

আজ রাতের আকাশে দেখা যাবে ‘সুপারমুন’

আপডেট টাইম : ০৫:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ ২০১৯

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ আজ রাতের আকাশে দেখা যাবে সুপারমুন। চলতি বছর এটিই সর্বশেষ সুপারমুন। মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার মতে, আজ চাঁদকে স্বাভাবিকের চেয়ে ১৪ শতাংশ বড় দেখাবে। পৃথিবীর বেশ কাছে চলে আসবে বলে চাঁদকে এতো বড় দেখাবে। আজ চাঁদ পৃথিবীর খুব কাছ ঘেঁষে প্রদক্ষিণ করবে। এ কারণে অন্যসব দিনের ঔজ্জ্বল্যের চেয়ে আজ রাতের চাঁদের ঔজ্জ্বল্য ৩০ শতাংশ বেশি, বলছে নাসা।

পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকেই আজকের এই সুপারমুনের সৌন্দর্য উপভোগ করা যাবে বলে জানিয়েছেন নাসা। তবে এর জন্য আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকা প্রয়োজন। চলতি বছর এটাই সর্বশেষ সুপারমুন। এরপর এমন একটি সুপারমুন দেখার সৌভাগ্য মিলবে ২০৩০ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি।

অন্যদিকে আজ পৃথিবীতে দিন রাত সমান। অর্থাৎ আজ পৃথিবীর দুই গোলার্ধই ১২ ঘণ্টা করে আলো পাবে এবং ১২ ঘণ্টা পাবে না। ২১ মার্চের মতো ২৩ সেপ্টেম্বরও দিন রাত সমান হয়ে থাকে।

এর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা হলো-সূর্যের চারদিকে পরিক্রমণকালে পৃথিবীর মেরু রেখা ধ্রুবতারামুখী হয়ে কক্ষপথের সঙ্গে সব সময় ৬৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি কোণ করে হেলে থাকে। আবার নিরক্ষরেখা বা বিষুবরেখার সমতল কক্ষপথের সঙ্গে ২৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি কোণে হেলে থাকে।

উল্লেখ্য, সুপারমুন চাঁদের একটি দশা বা অবস্থা। চাঁদ যখন পৃথিবীর খুব কাছে অবস্থান করে তখন চাঁদকে পৃথিবী থেকে তুলনামূলকভাবে অনেক বড় আর উজ্জ্বল দেখায়। পূর্ণ গোলাকার চাঁদের এই অবস্থাকে সুপারমুন বলা হয়।

সুপারমুনের কোন প্রচলিত বাংলা নেই। এটাকে অনেকে অতিকায় চাঁদ বলে থাকেন। পৃথিবী-চন্দ্র-সূর্য সিস্টেমে অতিকায় চাঁদের টেকনিক্যাল নাম হচ্ছে perigee-syzygy’। সুপারমুন শব্দটার উৎপত্তি আধুনিক জ্যোতিশাস্ত্রে, জ্যোতির্বিদ্যার সঙ্গে এর কোন যোগসূত্র নেই।

চন্দ্র, সূর্য, অবস্থানের কারণে পৃথিবীতে জোয়ার ভাঁটা হয়। সুপারমুনের কারণে পৃথিবীতে ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের মত প্রাকৃতিক দূর্যোগ সংঘটিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এই ধরণের কোনো দূর্যোগের সংবাদ পাওয়া যায় নাই।

১৯৯৩ সালের সুপারমুন সাধারণ চাঁদ থেকে ২০ গুণ অধিক উজ্জ্বল এবং ১৫ গুণ বড় ছিলো। পৃথিবী থেকে সুপারমুন বা অতিকায় চাঁদ সর্বশেষ দেখা গেছে ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫। চাঁদের সুপারমুনের বিপরীত দশা মাইক্রোমুন যা টেকনিক্যালি apogee-syzygy নামে পরিচিত। সুপারমুনের রাতে জ্যোছনায় পৃথিবী প্লাবিত হয়। অন্যদিকে মাইক্রোমুনে পৃথিবী থাকে অন্যান্য অন্ধকারাচ্ছন্ন রাতের মত। তাই মাইক্রোমুন সুপারমুনের মত এত পরিচিতি পায়নি।