ঢাকা , শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুই তরুণের জুতা আবিষ্কার, হাঁটলেই চার্জ হবে মোবাইল

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ মোবাইল চার্জ দিতে মনে নেই কিংবা লোডশেডিংয়ের কারণে ফোনে ব্যাটারি একদম শূণ্য? চিন্তা নেই! জুতা পায়ে দিয়ে কিছুক্ষণ হাঁটুন, স্বয়ংক্রিয়ভাবে চার্জ হবে মোবাইল ফোন। ব্যাপারটা অবাক হওয়ার মতোই। সম্প্রতি ভারতের ১৯ বছরের দুই তরুণ এক জোড়া জুতা তৈরি করেছেন, যেটি পরে হাঁটলে চার্জার বা পাওয়ার ব্যাংক ছাড়াই মোবাইল ফোনে চার্জ হবে।

প্রযুক্তি বিশ্বে চমক দেখানো দিল্লির এই দুই বালকের নাম মোহক ভাল্লা এবং আনন্দ গঙ্গাধারণ। দু’জনই দশম শ্রেণিতে পড়ার সময় থেকেই এমন একটা চার্জার বানানোর পরিকল্পনা করে। মাত্র তিন মাসের মধ্যে প্রথম মডেলটাও বানিয়ে ফেলে। তবে প্রথম মডেলে অনেক সমস্যা ছিল। ক্রমে সমস্যাগুলো খুঁজে বের করে সেগুলো ঠিক করা হয়েছে।

মূলত ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ইনডাকশন পদ্ধতিতে কাজ করে এই যন্ত্র। চার্জারের একটি অংশ ডায়নামো এবং অন্য অংশ বাফার। যন্ত্রটা রাখা হয় ঠিক গোড়ালির নিচে। হাঁটা শুরু করলে গোড়ালির চাপ থেকে শক্তি উৎপন্ন হয়। সেই শক্তি ডায়নামো ঘোরাতে সাহায্য করে। ডায়নামো ঘোরার সঙ্গে সঙ্গে বৈদ্যুতিক শক্তি তৈরি হয়। এই বিদ্যুৎ দিয়েই চার্জ হয় মোবাইল ফোন।

তবে এই চার্জ সিস্টেম খানিকটা ধীরগতির। দুই তরুণের দাবি, সাধারণ মোবাইল চার্জারে যে গতিতে চার্জ হয়, তার থেকে ২০ শতাংশ কম সময়ে চার্জ হয়ে যায় পদ্ধতিতে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

দুই তরুণের জুতা আবিষ্কার, হাঁটলেই চার্জ হবে মোবাইল

আপডেট টাইম : ০৬:৪৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ মে ২০১৯

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ মোবাইল চার্জ দিতে মনে নেই কিংবা লোডশেডিংয়ের কারণে ফোনে ব্যাটারি একদম শূণ্য? চিন্তা নেই! জুতা পায়ে দিয়ে কিছুক্ষণ হাঁটুন, স্বয়ংক্রিয়ভাবে চার্জ হবে মোবাইল ফোন। ব্যাপারটা অবাক হওয়ার মতোই। সম্প্রতি ভারতের ১৯ বছরের দুই তরুণ এক জোড়া জুতা তৈরি করেছেন, যেটি পরে হাঁটলে চার্জার বা পাওয়ার ব্যাংক ছাড়াই মোবাইল ফোনে চার্জ হবে।

প্রযুক্তি বিশ্বে চমক দেখানো দিল্লির এই দুই বালকের নাম মোহক ভাল্লা এবং আনন্দ গঙ্গাধারণ। দু’জনই দশম শ্রেণিতে পড়ার সময় থেকেই এমন একটা চার্জার বানানোর পরিকল্পনা করে। মাত্র তিন মাসের মধ্যে প্রথম মডেলটাও বানিয়ে ফেলে। তবে প্রথম মডেলে অনেক সমস্যা ছিল। ক্রমে সমস্যাগুলো খুঁজে বের করে সেগুলো ঠিক করা হয়েছে।

মূলত ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ইনডাকশন পদ্ধতিতে কাজ করে এই যন্ত্র। চার্জারের একটি অংশ ডায়নামো এবং অন্য অংশ বাফার। যন্ত্রটা রাখা হয় ঠিক গোড়ালির নিচে। হাঁটা শুরু করলে গোড়ালির চাপ থেকে শক্তি উৎপন্ন হয়। সেই শক্তি ডায়নামো ঘোরাতে সাহায্য করে। ডায়নামো ঘোরার সঙ্গে সঙ্গে বৈদ্যুতিক শক্তি তৈরি হয়। এই বিদ্যুৎ দিয়েই চার্জ হয় মোবাইল ফোন।

তবে এই চার্জ সিস্টেম খানিকটা ধীরগতির। দুই তরুণের দাবি, সাধারণ মোবাইল চার্জারে যে গতিতে চার্জ হয়, তার থেকে ২০ শতাংশ কম সময়ে চার্জ হয়ে যায় পদ্ধতিতে।