ঢাকা , শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টায়ার পাংচারের দিন শেষ

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ বেশ কিছুদিন ধরেই সরলদর্শন এয়ারলেস টায়ার বাজারে রয়েছে। ২০০৫ সাল থেকে ফ্রান্সের টায়ার নির্মাতা মিশালান এ ধরনের টায়ার তৈরি করে আসছে। তবে এখনো তা সাধারণ মানুষের কাছে নিয়মিত রোড কারের টায়ার হিসেবে গ্রহণযোগ্যতা পায়নি।

কিন্তু ২০২৪ সাল নাগাদ এ চিত্র বদলে যেতে পারে। জেনারেল মোটরস ও মিশালান মিলে (ইউনিক পাংচারপ্রুফ টায়ার সিস্টেম) ইউপিটস টায়ারের নতুন সংস্করণ আনার পরিকল্পনা করছে। এটি বৈজ্ঞানিকভাবে সাধারণ বায়ুভর্তি টায়ারের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।

মিশালান কর্তৃপক্ষ বলছে, তাদের ইউপিট টায়ার কম্পোজিট রাবার ও রেজিন এমবেডেড ফাইবার গ্লাসে তৈরি। এটি রাস্তায় যেকোনো গতিতে চলা গাড়ির ওজন বহন করতে পারে। এর উপাদান ও কাঠামোর উন্নতির ফলে তা সম্ভব।

এর আগের এয়ারলেস টায়ারে এত বেশি ওজন নেওয়া ও দ্রুতগতিতে চলা সম্ভব ছিল না। এয়ারলেস টায়ারের সুবিধা অনেক। এতে টায়ার পাংচার ও বিস্ফোরণ পুরোপুরি বন্ধ হবে। এ ছাড়া টায়ার স্ফীত হওয়ার আশঙ্কাও অনেক কমে যাবে। এতে টায়ার বদলানো লাগবে কম। এতে কাঁচামাল কম লাগবে। এতে বিদ্যুৎ খরচ ও বায়ুদূষণ কমবে।

মিশালানের দাবি, প্রতিবছর ক্ষতির কারণে ২০ কোটি টায়ার অকালে বাতিল হয়ে যায়।

এ ছাড়া এয়ারলেস টায়ার অটোনোমাস বা স্বয়ংক্রিয় গাড়ির জন্যও ভালো হবে। এতে রক্ষণাবেক্ষণ খরচ কমবে। এ বছরের শেষ দিকে শেভ্রোলেট বোল্ট ইভিএস গাড়িতে এয়ারলেস টায়ার পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার শুরু করবে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

টায়ার পাংচারের দিন শেষ

আপডেট টাইম : ০৫:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ জুন ২০১৯

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ বেশ কিছুদিন ধরেই সরলদর্শন এয়ারলেস টায়ার বাজারে রয়েছে। ২০০৫ সাল থেকে ফ্রান্সের টায়ার নির্মাতা মিশালান এ ধরনের টায়ার তৈরি করে আসছে। তবে এখনো তা সাধারণ মানুষের কাছে নিয়মিত রোড কারের টায়ার হিসেবে গ্রহণযোগ্যতা পায়নি।

কিন্তু ২০২৪ সাল নাগাদ এ চিত্র বদলে যেতে পারে। জেনারেল মোটরস ও মিশালান মিলে (ইউনিক পাংচারপ্রুফ টায়ার সিস্টেম) ইউপিটস টায়ারের নতুন সংস্করণ আনার পরিকল্পনা করছে। এটি বৈজ্ঞানিকভাবে সাধারণ বায়ুভর্তি টায়ারের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।

মিশালান কর্তৃপক্ষ বলছে, তাদের ইউপিট টায়ার কম্পোজিট রাবার ও রেজিন এমবেডেড ফাইবার গ্লাসে তৈরি। এটি রাস্তায় যেকোনো গতিতে চলা গাড়ির ওজন বহন করতে পারে। এর উপাদান ও কাঠামোর উন্নতির ফলে তা সম্ভব।

এর আগের এয়ারলেস টায়ারে এত বেশি ওজন নেওয়া ও দ্রুতগতিতে চলা সম্ভব ছিল না। এয়ারলেস টায়ারের সুবিধা অনেক। এতে টায়ার পাংচার ও বিস্ফোরণ পুরোপুরি বন্ধ হবে। এ ছাড়া টায়ার স্ফীত হওয়ার আশঙ্কাও অনেক কমে যাবে। এতে টায়ার বদলানো লাগবে কম। এতে কাঁচামাল কম লাগবে। এতে বিদ্যুৎ খরচ ও বায়ুদূষণ কমবে।

মিশালানের দাবি, প্রতিবছর ক্ষতির কারণে ২০ কোটি টায়ার অকালে বাতিল হয়ে যায়।

এ ছাড়া এয়ারলেস টায়ার অটোনোমাস বা স্বয়ংক্রিয় গাড়ির জন্যও ভালো হবে। এতে রক্ষণাবেক্ষণ খরচ কমবে। এ বছরের শেষ দিকে শেভ্রোলেট বোল্ট ইভিএস গাড়িতে এয়ারলেস টায়ার পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার শুরু করবে।