ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৪ লাখ টাকা দেনমোহরে শাওনকে বিয়ে করেছিলেন মাহি

৪ লাখ টাকা দেনমোহরে শাহরিয়ার ইসলাম শাওনকে বিয়ে করেছিলেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের সম্ভাবনাময়ী নায়িকা মাহিয়া মাহি।  মঙ্গলবার মাহি-শাওনের বিয়ের কাবিননামা আদালতে দাখিল করেন শাওনের আইনজীবী বিল্লাল হোসেন।  কাবিননামা থেকেই এ তথ্য জানা গেছে।

শাওনকে ঢাকার মহানগর হাকিম মাজহারুল ইসলামের আদালতে হাজির করে দ্বিতীয় দফায় রিমান্ড আবেদন করে ডিবি পুলিশ।  অন্যদিকে শাওনের জামিন চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবী।

শুনানি শেষে বিচারক রিমান্ড ও জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে শাওনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

কাবিননামা আদালতে দাখিলের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন বিল্লাল হোসেন।

জানা গেছে, একবছর আগে শাওনের সঙ্গে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হন মাহি।  গত বছরের ১৫ মে চার লাখ টাকা দেনমোহরে শাওনকে বিয়ে করেন তিনি।

এদিকে গত বুধবার সিলেটের ব্যবসায়ী মাহমুদ পারভেজ


অপুকে বিয়ে করেন নায়িকা মাহি।  বিয়ের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শাওনের সঙ্গে মাহির বেশকিছু অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি প্রকাশ হয়।

এরপর গত ২৭ মে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা দায়ের করেন মাহিয়া মাহি।  পরে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ শাওনকে গ্রেফতার করে দুদিনের রিমান্ডে নেয়।

রিমান্ডে ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে শাওন দাবি করেন, ২০১৫ সালে বাড্ডার কাজী অফিসে বিয়ে করেন শাওন ও মাহি।  উত্তরা মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে একই ক্লাসে পড়তেন তারা।  তখন থেকেই তাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

ডিবি সূত্রে জানা যায়, শাওনের কম্পিউটার থেকে মাহি ও শাওনের মধ্যে স্বামী-স্ত্রীর অন্তরঙ্গ ভিডিও ফুটেজ উদ্ধার করা হয়েছে।  মাহি-শাওনের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ফেসবুকে আপলোড করার বিষয়টি স্বীকার করেছেন শাওন।

স্ত্রী হিসেবে মাহির অনুমতি নিয়েই এসব ছবি আপলোড করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

শাওন ডিবিকে জানান, কলেজজীবন থেকেই মডেল ও অভিনেত্রী হওয়ার শখ ছিল মাহির।  চলচ্চিত্র নির্মাণকারী একটি প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তার সঙ্গে পরিচয়ের সূত্র ধরে ২০১২ সালে চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে মাহির।

তার দাবি, সিনেমার প্রযোজক থেকে শুরু করে পরিচালকরা জানতেন মাহির স্বামী শাওন।  কিছুদিন থেকে তাদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হতে থাকে।  সম্প্রতি সিলেটের ব্যবসায়ী পারভেজ অপুর সঙ্গে মাহির তৃতীয় বিয়ে হয়।  এরপর থেকেই সব প্রেক্ষাপট পাল্টে যেতে থাকে।

তবে ছবিগুলোকে ফেক বলে দাবি করেছেন মাহি।  তাকে হেয় করতেই এসব করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

ফেসবুকে প্রকাশিত ছবিগুলো সম্পর্কে মাহি বলেন, ছবিগুলো শুটিং চলাকালে তোলা।  শাওন ওই সময় মজা করে আমার সঙ্গে এসব ছবি ক্যামেরাবন্দি করে। বিয়ের কথা নিয়ে খবর ছড়ানো সম্পূর্ণ মিথ্যা।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

৪ লাখ টাকা দেনমোহরে শাওনকে বিয়ে করেছিলেন মাহি

আপডেট টাইম : ০৪:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ মে ২০১৬

৪ লাখ টাকা দেনমোহরে শাহরিয়ার ইসলাম শাওনকে বিয়ে করেছিলেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের সম্ভাবনাময়ী নায়িকা মাহিয়া মাহি।  মঙ্গলবার মাহি-শাওনের বিয়ের কাবিননামা আদালতে দাখিল করেন শাওনের আইনজীবী বিল্লাল হোসেন।  কাবিননামা থেকেই এ তথ্য জানা গেছে।

শাওনকে ঢাকার মহানগর হাকিম মাজহারুল ইসলামের আদালতে হাজির করে দ্বিতীয় দফায় রিমান্ড আবেদন করে ডিবি পুলিশ।  অন্যদিকে শাওনের জামিন চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবী।

শুনানি শেষে বিচারক রিমান্ড ও জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে শাওনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

কাবিননামা আদালতে দাখিলের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন বিল্লাল হোসেন।

জানা গেছে, একবছর আগে শাওনের সঙ্গে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হন মাহি।  গত বছরের ১৫ মে চার লাখ টাকা দেনমোহরে শাওনকে বিয়ে করেন তিনি।

এদিকে গত বুধবার সিলেটের ব্যবসায়ী মাহমুদ পারভেজ


অপুকে বিয়ে করেন নায়িকা মাহি।  বিয়ের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শাওনের সঙ্গে মাহির বেশকিছু অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি প্রকাশ হয়।

এরপর গত ২৭ মে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা দায়ের করেন মাহিয়া মাহি।  পরে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ শাওনকে গ্রেফতার করে দুদিনের রিমান্ডে নেয়।

রিমান্ডে ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে শাওন দাবি করেন, ২০১৫ সালে বাড্ডার কাজী অফিসে বিয়ে করেন শাওন ও মাহি।  উত্তরা মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে একই ক্লাসে পড়তেন তারা।  তখন থেকেই তাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

ডিবি সূত্রে জানা যায়, শাওনের কম্পিউটার থেকে মাহি ও শাওনের মধ্যে স্বামী-স্ত্রীর অন্তরঙ্গ ভিডিও ফুটেজ উদ্ধার করা হয়েছে।  মাহি-শাওনের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ফেসবুকে আপলোড করার বিষয়টি স্বীকার করেছেন শাওন।

স্ত্রী হিসেবে মাহির অনুমতি নিয়েই এসব ছবি আপলোড করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

শাওন ডিবিকে জানান, কলেজজীবন থেকেই মডেল ও অভিনেত্রী হওয়ার শখ ছিল মাহির।  চলচ্চিত্র নির্মাণকারী একটি প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তার সঙ্গে পরিচয়ের সূত্র ধরে ২০১২ সালে চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে মাহির।

তার দাবি, সিনেমার প্রযোজক থেকে শুরু করে পরিচালকরা জানতেন মাহির স্বামী শাওন।  কিছুদিন থেকে তাদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হতে থাকে।  সম্প্রতি সিলেটের ব্যবসায়ী পারভেজ অপুর সঙ্গে মাহির তৃতীয় বিয়ে হয়।  এরপর থেকেই সব প্রেক্ষাপট পাল্টে যেতে থাকে।

তবে ছবিগুলোকে ফেক বলে দাবি করেছেন মাহি।  তাকে হেয় করতেই এসব করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

ফেসবুকে প্রকাশিত ছবিগুলো সম্পর্কে মাহি বলেন, ছবিগুলো শুটিং চলাকালে তোলা।  শাওন ওই সময় মজা করে আমার সঙ্গে এসব ছবি ক্যামেরাবন্দি করে। বিয়ের কথা নিয়ে খবর ছড়ানো সম্পূর্ণ মিথ্যা।