ঢাকা , বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫, ১৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খুলনাকে হারিয়ে শীর্ষস্থানের লড়াই জমিয়ে তুলল বরিশাল

চলতি বিপিএলে প্রথম ৮ ম্যাচে টানা জয় দেখলেও সবশেষ ২ ম্যাচে হেরে যায় রংপুর রাইডার্স। টেবিলের শীর্ষস্থানের দলটির এই দুই হারের সুযোগ নিলো ফরচুন বরিশাল। আজ সোমবার খুলনা টাইগার্সকে হারিয়ে রংপুরকে ছুঁয়ে ফেলল তামিম ইকবালের দল। ১০ ম্যাচ শেষে দুই দলের পয়েন্ট সমান হলেও রান রেটে এগিয়ে অবশ্য রংপুরই।

মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে খুলনা টাইগার্সকে আজ বরিশাল হারিয়েছে ৫ উইকেটে। প্রথমে ব্যাট করে অবশ্য ভালো সংগ্রহই গড়েছিল খুলনা। মোহাম্মদ নাঈম শেখের হাফ সেঞ্চুরিতে ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে থামে ১৮৭ রানে। বড় লক্ষ্যে ৫ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে বরিশাল। এই ম্যাচ নিয়ে টানা ৫ ম্যাচে জিতল দক্ষিণাঞ্চলের ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।

১৮৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১১ রানে তাওহিদ হৃদয়কে হারায় বরিশাল। তবে দ্বিতীয় উইকেটে ৫৬ বলে ৯১ রানের জুটি গড়ে দলকে সহজ জয়ের স্বপ্নই দেখান তামিম ইকবাল ও ডেভিড ম্যালান। দলীয় ১০২ রানের মাথায় তামিমের (২৫ বলে ২৭) পতনের পর ১২১ রানের মাথায় ফেরেন দুর্দান্ত ব্যাটিং করা ম্যালান। তার আগে ৩৭ বলে ৮টি চার ও ৩ ছক্কায় ৬৩ রানের ইনিংস খেলে জয়ের ভিত গড়ে দিয়ে যান।

৩ উইকেটের পতন ঘটলেও চতুর্থ উইকেটে দুই ভায়রা মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ছোট ক্যামিও খেলে দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যান। তবে ১৫২ রানের মাথায় পরপর দুই বলে মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিক ফিরলে একটু শঙ্কা জাগে বরিশাল শিবিরে। তবে সব শঙ্কা উড়িয়ে দেন ছয় ও সাত নম্বরে নামা ফাহিম আশরাফ ও মোহাম্মদ নবী। ১৬ বলে ৩৬ রানের ঝোড়ো জুটিতে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন এই দুজন। ফাহিম ৬ বলে ১৮ রানে ও নবী ১০ বলে ১৫ রান করে অপরাজিত থাকেন।

এর আগে টসে হেরে ব্যাটিং করতে নেমে পাওয়ার প্লেতে দুর্দান্ত খেলে খুলনা। মাত্র ৫ ওভার ২ বলেই ৪৭ রান তুলে ফেলেন নাঈম ও অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। ১৮ বলে ২৯ রান করে মিরাজের পতন হলেও দারুণ ব্যাটিং করতে থাকেন নাঈম। দলীয় ৯৯ রানে দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে তিনি যখন থামেন ততক্ষণে হাফ সেঞ্চুরি হয়ে যায় তার। ২৭ বলে ৫১ রান করার পথে ৫টি চারের পাশাপাশি ৩টি ছক্কা হাঁকান তিনি।

তবে শেষের দিকে বরিশালের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি খুলনার ব্যাটাররা। অ্যালেক্স রস (১৫ বলে ২০), আফিফ হোসাইন (২৭ বলে ৩২), উইলিয়াম বসিসটোরা (১৬ বলে ২০*) দ্রুতগতিতে রান তুলতে পারেননি। শেষদিকে মাহিদুল ইসলাম অংকন বরাবরের মতো ঝোড়ো ব্যাটিং করেন। ১২ বলে ২টি চার ও ৩ ছক্কায় তার অপরাজিত ২৭ রানেই ১৮৭ রান তুলতে সক্ষম হয় খুলনা।

৪ ওভার বল করে ২টি উইকেট নিলেও ৪৯ রান দেন বরিশালের ফাহিম। তবে বল হাতে ভীষণ কৃপণ ছিলেন দলের দুই স্পিনার নবী ও রিশাদ হোসেন। ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে নবীর শিকার ১টি উইকেট। কোনো উইকেট না পেলেও সমান ওভারে মাত্র ২২ রান দেন লেগ স্পিনা রিশাদ। ম্যাচসেরা অবশ্য ৬৩ রান করা মালানই হয়েছেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

খুলনাকে হারিয়ে শীর্ষস্থানের লড়াই জমিয়ে তুলল বরিশাল

আপডেট টাইম : ০১:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫

চলতি বিপিএলে প্রথম ৮ ম্যাচে টানা জয় দেখলেও সবশেষ ২ ম্যাচে হেরে যায় রংপুর রাইডার্স। টেবিলের শীর্ষস্থানের দলটির এই দুই হারের সুযোগ নিলো ফরচুন বরিশাল। আজ সোমবার খুলনা টাইগার্সকে হারিয়ে রংপুরকে ছুঁয়ে ফেলল তামিম ইকবালের দল। ১০ ম্যাচ শেষে দুই দলের পয়েন্ট সমান হলেও রান রেটে এগিয়ে অবশ্য রংপুরই।

মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে খুলনা টাইগার্সকে আজ বরিশাল হারিয়েছে ৫ উইকেটে। প্রথমে ব্যাট করে অবশ্য ভালো সংগ্রহই গড়েছিল খুলনা। মোহাম্মদ নাঈম শেখের হাফ সেঞ্চুরিতে ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে থামে ১৮৭ রানে। বড় লক্ষ্যে ৫ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে বরিশাল। এই ম্যাচ নিয়ে টানা ৫ ম্যাচে জিতল দক্ষিণাঞ্চলের ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।

১৮৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১১ রানে তাওহিদ হৃদয়কে হারায় বরিশাল। তবে দ্বিতীয় উইকেটে ৫৬ বলে ৯১ রানের জুটি গড়ে দলকে সহজ জয়ের স্বপ্নই দেখান তামিম ইকবাল ও ডেভিড ম্যালান। দলীয় ১০২ রানের মাথায় তামিমের (২৫ বলে ২৭) পতনের পর ১২১ রানের মাথায় ফেরেন দুর্দান্ত ব্যাটিং করা ম্যালান। তার আগে ৩৭ বলে ৮টি চার ও ৩ ছক্কায় ৬৩ রানের ইনিংস খেলে জয়ের ভিত গড়ে দিয়ে যান।

৩ উইকেটের পতন ঘটলেও চতুর্থ উইকেটে দুই ভায়রা মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ছোট ক্যামিও খেলে দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যান। তবে ১৫২ রানের মাথায় পরপর দুই বলে মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিক ফিরলে একটু শঙ্কা জাগে বরিশাল শিবিরে। তবে সব শঙ্কা উড়িয়ে দেন ছয় ও সাত নম্বরে নামা ফাহিম আশরাফ ও মোহাম্মদ নবী। ১৬ বলে ৩৬ রানের ঝোড়ো জুটিতে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন এই দুজন। ফাহিম ৬ বলে ১৮ রানে ও নবী ১০ বলে ১৫ রান করে অপরাজিত থাকেন।

এর আগে টসে হেরে ব্যাটিং করতে নেমে পাওয়ার প্লেতে দুর্দান্ত খেলে খুলনা। মাত্র ৫ ওভার ২ বলেই ৪৭ রান তুলে ফেলেন নাঈম ও অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। ১৮ বলে ২৯ রান করে মিরাজের পতন হলেও দারুণ ব্যাটিং করতে থাকেন নাঈম। দলীয় ৯৯ রানে দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে তিনি যখন থামেন ততক্ষণে হাফ সেঞ্চুরি হয়ে যায় তার। ২৭ বলে ৫১ রান করার পথে ৫টি চারের পাশাপাশি ৩টি ছক্কা হাঁকান তিনি।

তবে শেষের দিকে বরিশালের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি খুলনার ব্যাটাররা। অ্যালেক্স রস (১৫ বলে ২০), আফিফ হোসাইন (২৭ বলে ৩২), উইলিয়াম বসিসটোরা (১৬ বলে ২০*) দ্রুতগতিতে রান তুলতে পারেননি। শেষদিকে মাহিদুল ইসলাম অংকন বরাবরের মতো ঝোড়ো ব্যাটিং করেন। ১২ বলে ২টি চার ও ৩ ছক্কায় তার অপরাজিত ২৭ রানেই ১৮৭ রান তুলতে সক্ষম হয় খুলনা।

৪ ওভার বল করে ২টি উইকেট নিলেও ৪৯ রান দেন বরিশালের ফাহিম। তবে বল হাতে ভীষণ কৃপণ ছিলেন দলের দুই স্পিনার নবী ও রিশাদ হোসেন। ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে নবীর শিকার ১টি উইকেট। কোনো উইকেট না পেলেও সমান ওভারে মাত্র ২২ রান দেন লেগ স্পিনা রিশাদ। ম্যাচসেরা অবশ্য ৬৩ রান করা মালানই হয়েছেন।