ঢাকা , বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফুটবল–সমর্থকের জন্মদিন উদ্‌যাপন গ্যালারিতেই

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ কতটা খেলা-অন্তঃপ্রাণ দর্শক হলে গ্যালারিতে উদ্‌যাপন করা হয় তাঁর জন্মদিন, একবার ভেবে দেখুন তো। আর যদি হয় বাংলাদেশের ফুটবলে, তা হলে তো কথাই নেই! আজ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের প্রেসবক্স-লাগোয়া গ্যালারিতে দর্শকদের পক্ষ থেকে পালন করা হয় ফুটবল-অন্তঃপ্রাণ আতাউর রহমানের জন্মদিন। ফুটবল অঙ্গনে যিনি ‘আতা ভাই’ নামে পরিচিত।

আতা ভাইয়ের জন্ম ১৯৪৫ সালে, ঢাকার টিকাটুলিতে। ৭৩তম জন্মদিনের কেক কাটতে পেরে উচ্ছ্বাসের আভা আতা ভাইয়ের মুখে, ‘ধন্যবাদ, ধন্যবাদ! আমার জন্য যে কেক নিয়ে আসা হয়েছে ভীষণ খুশি।’
ভরা যৌবনে আতা ভাই গা ভাসিয়েছেন ফুটবলের উন্মাদনায়। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে প্রথম ম্যাচ দেখেছেন ১৭ বছর বয়সে। সেটি ১৯৬২ সালের কথা। এসএসসি রোল (৪৫১৫) নম্বরের মতো মনে আছে গ্যালারি থেকে প্রথম ম্যাচের স্মৃতিও, ‘ওটা ছিল ওয়ান্ডারার্স-আজাদ ক্লাবের ম্যাচ।’
নিয়মিত মাঠে আসার শুরুতেই মোহামেডানের প্রেমে পড়েছিলেন আতা ভাই। তখন থেকে আতা ভাইয়ের আরেক নাম ‘মোহামেডান’! তাঁর দাবি, ষাটের দশক থেকে এখন পর্যন্ত মোহামেডানের কোনো ম্যাচই হাতছাড়া করেননি। এমনকি দুবার জন্ডিস ও হার্নিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার পরও! মোহামেডান এখন সাফল্য-খরায় ভুগলেও আতা ভাই তাতে হতোদ্যম নন। এখনো প্রিয় দলের খেলা দেখতে ছুটে আসেন মাঠে। ফুটবলের প্রতি আতা ভাইয়ের ভালোবাসায় ভাটা পড়েনি কখনো। কিন্তু ফুটবলাররা এখন আতা ভাইদের ভালোবাসার প্রতিদান দিতে পারছেন কোথায়।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

ফুটবল–সমর্থকের জন্মদিন উদ্‌যাপন গ্যালারিতেই

আপডেট টাইম : ০২:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অগাস্ট ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ কতটা খেলা-অন্তঃপ্রাণ দর্শক হলে গ্যালারিতে উদ্‌যাপন করা হয় তাঁর জন্মদিন, একবার ভেবে দেখুন তো। আর যদি হয় বাংলাদেশের ফুটবলে, তা হলে তো কথাই নেই! আজ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের প্রেসবক্স-লাগোয়া গ্যালারিতে দর্শকদের পক্ষ থেকে পালন করা হয় ফুটবল-অন্তঃপ্রাণ আতাউর রহমানের জন্মদিন। ফুটবল অঙ্গনে যিনি ‘আতা ভাই’ নামে পরিচিত।

আতা ভাইয়ের জন্ম ১৯৪৫ সালে, ঢাকার টিকাটুলিতে। ৭৩তম জন্মদিনের কেক কাটতে পেরে উচ্ছ্বাসের আভা আতা ভাইয়ের মুখে, ‘ধন্যবাদ, ধন্যবাদ! আমার জন্য যে কেক নিয়ে আসা হয়েছে ভীষণ খুশি।’
ভরা যৌবনে আতা ভাই গা ভাসিয়েছেন ফুটবলের উন্মাদনায়। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে প্রথম ম্যাচ দেখেছেন ১৭ বছর বয়সে। সেটি ১৯৬২ সালের কথা। এসএসসি রোল (৪৫১৫) নম্বরের মতো মনে আছে গ্যালারি থেকে প্রথম ম্যাচের স্মৃতিও, ‘ওটা ছিল ওয়ান্ডারার্স-আজাদ ক্লাবের ম্যাচ।’
নিয়মিত মাঠে আসার শুরুতেই মোহামেডানের প্রেমে পড়েছিলেন আতা ভাই। তখন থেকে আতা ভাইয়ের আরেক নাম ‘মোহামেডান’! তাঁর দাবি, ষাটের দশক থেকে এখন পর্যন্ত মোহামেডানের কোনো ম্যাচই হাতছাড়া করেননি। এমনকি দুবার জন্ডিস ও হার্নিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার পরও! মোহামেডান এখন সাফল্য-খরায় ভুগলেও আতা ভাই তাতে হতোদ্যম নন। এখনো প্রিয় দলের খেলা দেখতে ছুটে আসেন মাঠে। ফুটবলের প্রতি আতা ভাইয়ের ভালোবাসায় ভাটা পড়েনি কখনো। কিন্তু ফুটবলাররা এখন আতা ভাইদের ভালোবাসার প্রতিদান দিতে পারছেন কোথায়।