ঢাকা , বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমি তোকে ব্যালন ডি’অর এনে দেব, নেইমারকে বলেছিলেন মেসি

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ বটবৃক্ষের ছায়ায় শান্তিতে জিরানো যায় দুদণ্ড। বাইরের ঘাত-প্রতিঘাত সামলাতেও সে বৃক্ষ হয়ে ওঠে বড় এক আশ্রয়। কিন্তু তার ছায়াটাই মাথাব্যথার কারণ হয়ে ওঠে আশপাশে থাকা অন্যদের জন্য। বটবৃক্ষের ছায়া থেকে বের হয়ে নিজেই একটা বৃক্ষ হয়ে ওঠা যে বড্ড কঠিন কাজ। নেইমারও তাই পারলেন না বার্সেলোনায় থাকতে। লিওনেল মেসির ছায়া থেকে বেরিয়ে চলে গেছেন পিএসজিতে।
অথচ মেসি নিজেই নাকি আর বটবৃক্ষ হয়ে থাকতে চাইছিলেন না। নিজের সাম্রাজ্য বুঝিয়ে দিতে চাইছিলেন নেইমারকে। রাজ্যপাট বুঝিয়ে দিয়ে পার্শ্বনায়কেই খুশি হতেন মেসি, তবু যদি নেইমার রাজি হন বার্সেলোনায় থেকে যেতে। যে ব্যালন ডি’অর জেতার স্বপ্নে ক্লাব ছেড়েছেন, সেটাই এনে দেওয়ার প্রতিজ্ঞা করেছিলেন মেসি। কিন্তু লাভ হয়নি কোনো, অভিমানী নেইমারের অবুঝ মন বোঝেনি এমন আকুল প্রস্তাবের মূল্য। বন্ধুদের ছেড়ে চলে গেছেন প্যারিসে, নতুন রাজ্যপাট সাজাতে।
নেইমার চলে গেছেন। তাঁকে ছাড়া বার্সেলোনাও মাঠে নেমে খেলে ফেলেছে বেশ কিছু ম্যাচ। কিন্তু নেইমারের এভাবে বিদায় নেওয়ার ধাক্কা মানতে পারছেন না অনেকে। এর মাঝেই এএস স্পোর্টস নতুন বোমা ফোটাল। মেসি নাকি শেষ চেষ্টা হিসেবে নেইমারকে বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় বানানোর প্রস্তাবও দিয়েছিলেন। প্রাক-মৌসুমে জুভেন্টাস ম্যাচের আগে নেইমারের সঙ্গে আলাদা করে দেখা করেছিলেন মেসি-সুয়ারেজ। সেখানেই নেইমারকে রেখে দেওয়ার শেষ আকুতি শুনিয়েছেন মেসি, ‍‘কী চাস তুই? ব্যালন ডি’অর চাস? আমি তোকে ব্যালন এনে দেব।’
পরের দিনই মেসি তাঁর কথা প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন। সেদিন তাঁর প্রতি মুহূর্তের চেষ্টা ছিল নেইমারের সেরাটা বের করে আনার। ম্যাচের প্রথম ফ্রি কিকও নেইমারকে মারতে দিয়েছেন। সাধারণত মাঠে দুজন দুই প্রান্তে খেললেও সেদিন নেইমারের অনেক কাছে খেলার চেষ্টা করেছেন মেসি। তাঁর প্রতিটি মুভমেন্ট ছিল নেইমারকে কেন্দ্র করে। সেটা কাজেও লেগেছিল। সেদিন বার্সার জয়ের দুটি গোলই ছিল নেইমারের। সবচেয়ে বড় কথা, সেদিন আসলেই বিশ্বসেরা খেলোয়াড় মনে হয়েছিল নেইমারকে।
কিন্তু মেসি, সুয়ারেজরা তখনো জানতেন না নেইমার এর আগেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন দল বদলের। চুক্তি সম্পাদনও প্রায় শেষ পর্যায়ে। তাই মেসির অমন ভালোবাসার ডাকও উপেক্ষা করে চলে গেছেন নেইমার। তাঁকে যে বিশ্বসেরা হতে হবে! কিন্তু এক দলেই যে দুজন বিশ্বসেরা খেলোয়াড় থাকতে পারে, সেটা তো ইতিহাসই দেখিয়েছে। আলফ্রেডো ডি স্টেফানো-রেমন্ড কোঁপা, ববি চার্লটন-জর্জ বেস্ট, জার্ড মুলার-বেকেনবাওয়ার—এঁরা সবাই কিন্তু ব্যালন ডি’অর জিতেছেন একই দলে খেলে।
মেসির হাত বাড়িয়ে দিলে নেইমারও কি পারতেন না? এখন যে উল্টো মেসির বিরুদ্ধেই লড়তে হবে তাঁকে! সূত্র: দ্য স্পোর্ত।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

আমি তোকে ব্যালন ডি’অর এনে দেব, নেইমারকে বলেছিলেন মেসি

আপডেট টাইম : ০২:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অগাস্ট ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ বটবৃক্ষের ছায়ায় শান্তিতে জিরানো যায় দুদণ্ড। বাইরের ঘাত-প্রতিঘাত সামলাতেও সে বৃক্ষ হয়ে ওঠে বড় এক আশ্রয়। কিন্তু তার ছায়াটাই মাথাব্যথার কারণ হয়ে ওঠে আশপাশে থাকা অন্যদের জন্য। বটবৃক্ষের ছায়া থেকে বের হয়ে নিজেই একটা বৃক্ষ হয়ে ওঠা যে বড্ড কঠিন কাজ। নেইমারও তাই পারলেন না বার্সেলোনায় থাকতে। লিওনেল মেসির ছায়া থেকে বেরিয়ে চলে গেছেন পিএসজিতে।
অথচ মেসি নিজেই নাকি আর বটবৃক্ষ হয়ে থাকতে চাইছিলেন না। নিজের সাম্রাজ্য বুঝিয়ে দিতে চাইছিলেন নেইমারকে। রাজ্যপাট বুঝিয়ে দিয়ে পার্শ্বনায়কেই খুশি হতেন মেসি, তবু যদি নেইমার রাজি হন বার্সেলোনায় থেকে যেতে। যে ব্যালন ডি’অর জেতার স্বপ্নে ক্লাব ছেড়েছেন, সেটাই এনে দেওয়ার প্রতিজ্ঞা করেছিলেন মেসি। কিন্তু লাভ হয়নি কোনো, অভিমানী নেইমারের অবুঝ মন বোঝেনি এমন আকুল প্রস্তাবের মূল্য। বন্ধুদের ছেড়ে চলে গেছেন প্যারিসে, নতুন রাজ্যপাট সাজাতে।
নেইমার চলে গেছেন। তাঁকে ছাড়া বার্সেলোনাও মাঠে নেমে খেলে ফেলেছে বেশ কিছু ম্যাচ। কিন্তু নেইমারের এভাবে বিদায় নেওয়ার ধাক্কা মানতে পারছেন না অনেকে। এর মাঝেই এএস স্পোর্টস নতুন বোমা ফোটাল। মেসি নাকি শেষ চেষ্টা হিসেবে নেইমারকে বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় বানানোর প্রস্তাবও দিয়েছিলেন। প্রাক-মৌসুমে জুভেন্টাস ম্যাচের আগে নেইমারের সঙ্গে আলাদা করে দেখা করেছিলেন মেসি-সুয়ারেজ। সেখানেই নেইমারকে রেখে দেওয়ার শেষ আকুতি শুনিয়েছেন মেসি, ‍‘কী চাস তুই? ব্যালন ডি’অর চাস? আমি তোকে ব্যালন এনে দেব।’
পরের দিনই মেসি তাঁর কথা প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন। সেদিন তাঁর প্রতি মুহূর্তের চেষ্টা ছিল নেইমারের সেরাটা বের করে আনার। ম্যাচের প্রথম ফ্রি কিকও নেইমারকে মারতে দিয়েছেন। সাধারণত মাঠে দুজন দুই প্রান্তে খেললেও সেদিন নেইমারের অনেক কাছে খেলার চেষ্টা করেছেন মেসি। তাঁর প্রতিটি মুভমেন্ট ছিল নেইমারকে কেন্দ্র করে। সেটা কাজেও লেগেছিল। সেদিন বার্সার জয়ের দুটি গোলই ছিল নেইমারের। সবচেয়ে বড় কথা, সেদিন আসলেই বিশ্বসেরা খেলোয়াড় মনে হয়েছিল নেইমারকে।
কিন্তু মেসি, সুয়ারেজরা তখনো জানতেন না নেইমার এর আগেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন দল বদলের। চুক্তি সম্পাদনও প্রায় শেষ পর্যায়ে। তাই মেসির অমন ভালোবাসার ডাকও উপেক্ষা করে চলে গেছেন নেইমার। তাঁকে যে বিশ্বসেরা হতে হবে! কিন্তু এক দলেই যে দুজন বিশ্বসেরা খেলোয়াড় থাকতে পারে, সেটা তো ইতিহাসই দেখিয়েছে। আলফ্রেডো ডি স্টেফানো-রেমন্ড কোঁপা, ববি চার্লটন-জর্জ বেস্ট, জার্ড মুলার-বেকেনবাওয়ার—এঁরা সবাই কিন্তু ব্যালন ডি’অর জিতেছেন একই দলে খেলে।
মেসির হাত বাড়িয়ে দিলে নেইমারও কি পারতেন না? এখন যে উল্টো মেসির বিরুদ্ধেই লড়তে হবে তাঁকে! সূত্র: দ্য স্পোর্ত।