ঢাকা , শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি: সুফল নিশ্চিত করতে হবে

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি দারিদ্র্য হ্রাসে ভূমিকা রাখছে, এতে কোনো সংশয় নেই। দেশে বর্তমানে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির পরিসর অনেক বেড়েছে। গতকাল যুগান্তরে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রথমবারের মতো দারিদ্র্যপ্রবণ ১১২টি উপজেলার সব দরিদ্র-প্রবীণ ব্যক্তিকে ভাতার আওতায় আনা হয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির বিভিন্ন প্রকল্পে চলতি বছর সরকারের ব্যয় হচ্ছে এক লাখ ১৭ হাজার কোটি টাকাও বেশি।

বিভিন্ন ধরনের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি দারিদ্র্যহার নিয়ন্ত্রণ ও এসডিজির লক্ষ্য অর্জনে ভূমিকা রাখছে। আমাদের দেশে প্রবীণ জনগোষ্ঠীর সামাজিক মর্যাদা প্রশ্নাতীত হলেও নানা কারণে তাদের দীর্ঘশ্বাসের বিষয়টিও বহুল আলোচিত। জানা গেছে, গত বছরের চেয়ে এ বছর বিপুলসংখ্যক প্রবীণকে নতুনভাবে যুক্ত করা হয়েছে ভাতা দেওয়ার কর্মসূচিতে।

প্রবীণবান্ধব এ কর্মসূচি চালু রাখার পাশাপাশি এ ধরনের আরও কর্মসূচি নেওয়া দরকার। জানা গেছে, বয়স্কভাতার তালিকায় অনিয়মের অভিযোগ সবচেয়ে বেশি। কাজেই অনিয়ম রোধে কর্তৃপক্ষকে কঠোর হতে হবে।

মুজিববর্ষে সরকারের বিনা মূল্যের ঘর গৃহহীন মানুষের জন্য একটি বড় উপহার। পর্যায়ক্রমে প্রায় নয় লাখ পরিবারকে ঘর করে দেবে সরকার। সামাজিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এটি একটি অনন্য পদক্ষেপ। অন্যদিকে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে গরিব মানুষকে খাদ্যসহায়তা দেওয়ার পদ্ধতিটি পরিবর্তন করে নগদ সহায়তার অংশ বাড়ানো দরকার বলে মনে করেন অনেক বিশেষজ্ঞ। মানুষের কাছে সবচেয়ে কম খরচে নগদ সহায়তা পৌঁছানো সম্ভব।

আধুনিক প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা গেলে এ ধরনের কর্মসূচিতে জালিয়াতি ও দুর্নীতি রোধ করা কঠিন হবে না। এ জন্য দরকার কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছা। ইতোমধ্যে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত কোনো কোনো প্রকল্পে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে সুফলও মিলেছে।

চলতি বছর সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির মাধ্যমে দেশের ১১ কোটি মানুষ প্রত্যক্ষভাবে উপকৃত হবেন। এ ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা নিশ্চিত হলে বিশ্বের ‘রোল মডেল’ হবে বাংলাদেশ, এতে কোনো সন্দেহ নেই। দুর্নীতির কারণে সরকারের জনমুখী অনেক প্রকল্প যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হয় না।

প্রকল্প বাস্তবায়নে ক্ষমতার অপব্যবহার, জালিয়াতি, আর্থিক দুর্নীতি-এসব অভিযোগ বিভিন্ন সময়ে উঠেছে। কাজেই কর্তৃপক্ষ এসব ব্যাপারে সময়মতো যথাযথ পদক্ষেপ নেবে-এটাই কাম্য।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি: সুফল নিশ্চিত করতে হবে

আপডেট টাইম : ০৯:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি দারিদ্র্য হ্রাসে ভূমিকা রাখছে, এতে কোনো সংশয় নেই। দেশে বর্তমানে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির পরিসর অনেক বেড়েছে। গতকাল যুগান্তরে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রথমবারের মতো দারিদ্র্যপ্রবণ ১১২টি উপজেলার সব দরিদ্র-প্রবীণ ব্যক্তিকে ভাতার আওতায় আনা হয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির বিভিন্ন প্রকল্পে চলতি বছর সরকারের ব্যয় হচ্ছে এক লাখ ১৭ হাজার কোটি টাকাও বেশি।

বিভিন্ন ধরনের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি দারিদ্র্যহার নিয়ন্ত্রণ ও এসডিজির লক্ষ্য অর্জনে ভূমিকা রাখছে। আমাদের দেশে প্রবীণ জনগোষ্ঠীর সামাজিক মর্যাদা প্রশ্নাতীত হলেও নানা কারণে তাদের দীর্ঘশ্বাসের বিষয়টিও বহুল আলোচিত। জানা গেছে, গত বছরের চেয়ে এ বছর বিপুলসংখ্যক প্রবীণকে নতুনভাবে যুক্ত করা হয়েছে ভাতা দেওয়ার কর্মসূচিতে।

প্রবীণবান্ধব এ কর্মসূচি চালু রাখার পাশাপাশি এ ধরনের আরও কর্মসূচি নেওয়া দরকার। জানা গেছে, বয়স্কভাতার তালিকায় অনিয়মের অভিযোগ সবচেয়ে বেশি। কাজেই অনিয়ম রোধে কর্তৃপক্ষকে কঠোর হতে হবে।

মুজিববর্ষে সরকারের বিনা মূল্যের ঘর গৃহহীন মানুষের জন্য একটি বড় উপহার। পর্যায়ক্রমে প্রায় নয় লাখ পরিবারকে ঘর করে দেবে সরকার। সামাজিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এটি একটি অনন্য পদক্ষেপ। অন্যদিকে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে গরিব মানুষকে খাদ্যসহায়তা দেওয়ার পদ্ধতিটি পরিবর্তন করে নগদ সহায়তার অংশ বাড়ানো দরকার বলে মনে করেন অনেক বিশেষজ্ঞ। মানুষের কাছে সবচেয়ে কম খরচে নগদ সহায়তা পৌঁছানো সম্ভব।

আধুনিক প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা গেলে এ ধরনের কর্মসূচিতে জালিয়াতি ও দুর্নীতি রোধ করা কঠিন হবে না। এ জন্য দরকার কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছা। ইতোমধ্যে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত কোনো কোনো প্রকল্পে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে সুফলও মিলেছে।

চলতি বছর সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির মাধ্যমে দেশের ১১ কোটি মানুষ প্রত্যক্ষভাবে উপকৃত হবেন। এ ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা নিশ্চিত হলে বিশ্বের ‘রোল মডেল’ হবে বাংলাদেশ, এতে কোনো সন্দেহ নেই। দুর্নীতির কারণে সরকারের জনমুখী অনেক প্রকল্প যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হয় না।

প্রকল্প বাস্তবায়নে ক্ষমতার অপব্যবহার, জালিয়াতি, আর্থিক দুর্নীতি-এসব অভিযোগ বিভিন্ন সময়ে উঠেছে। কাজেই কর্তৃপক্ষ এসব ব্যাপারে সময়মতো যথাযথ পদক্ষেপ নেবে-এটাই কাম্য।