প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল—এই ১৪ বছরে বাংলাদেশ বদলে গেছে। করোনাকালেও গৃহহীনদের ঘর করে দিচ্ছি। কে কোন দলের, তা দেখিনি। আমরা মানুষকে মানুষ হিসেবে দেখেছি।
আজ মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে রংপুর সিটি করপোরেশনের (রসিক) নবনির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের শপথবাক্য পাঠ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গত ১৪ বছরে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে। আমরা ভূমি ও গৃহহীনদের ঘর করে দিয়েছি। রংপুর বিভাগ আমারই করা। আমরা মানুষের জন্য কাজ করেছি।”
তিনি বলেন, “মার্শাল ল জারি করে ক্ষমতা দখলকে উচ্চ আদালত অবৈধ ঘোষণা দিয়েছেন। যার ফলে আজকের বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার, গণতন্ত্রের অধিকার, মৌলিক অধিকার নিশ্চিত হয়েছে। আমরা এই ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনী নিয়ে এসে গণতন্ত্রকে সুসংহত করেছি। এই গণতন্ত্র হচ্ছে জনগণের শক্তিকে দৃঢ় করা এবং ক্ষমতায় কে থাকবে না থাকবে, জনগণ যাতে নির্বাচিত করতে পারে, সেটা নিশ্চিত করা।”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “পঞ্চদশ সংশোধনী করার ফলে দেশে স্থিতিশীলতা এসেছে। কারণ, দীর্ঘদিন ধরে দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে। এখন আর অনির্বাচিত কেউ অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করতে পারছে না। যদিও অনেকের অন্তর্জ্বালা আছে; যারা কোনোদিন ভোটেও জিততে পারবে না, রাজনীতিও করতে পারবে না, জনগণের মুখে সামনে দাঁড়ানোর সাহস নেই তাদের।”
তিনি বলেন, “আমাদের দেশে একশ্রেণির বুদ্ধিজীবী আছে, যারা বুদ্ধি বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে। তারা সব সময় গণতান্ত্রিক ধারাকে ব্যাহত করার চেষ্টা করে। এটা তাদের একটা প্রচেষ্টা, যা আমরা যুগ যুগ ধরে দেখেছি।”