ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খিলক্ষেত থানা ভবনজুড়ে ধ্বংসলীলার চিহ্ন

আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ৫ আগস্ট বিকেল থেকে দেশের বিভিন্ন থানায় হামলা ও লুট করা হয়। এ ছাড়া আগুন দেওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে থানাগুলো। তার মধ্যে ছিল রাজধানীর খিলক্ষেত থানা। এই থানার সব জব্দ করা গাড়ি ও মামলার আলামত পুড়িয়ে দেওয়া হয়, এরপর লুট করা হয়।

গত সোমবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আগুনের ক্ষতচিহ্ন আর কালচে রং রয়েছে পুরো থানা ভবনেই।

জানা যায়, এখনো থানার ওসি তদন্ত ও অপারেশন পদে পদায়ন হয়নি। তাঁদের কক্ষগুলো সংস্কার করা হচ্ছে।

ওসিসহ অন্যরা যেসব কক্ষে বসেছেন, সেগুলো ধোয়ামোছা করে কোনো রকমে বসার উপযোগী করা হয়েছে।

কক্ষগুলোতে প্রয়োজনীয় আসবাব নেই। দ্বিতীয় তলার স্টোররুম ও সদস্যদের থাকার জায়গাগুলোতে এখনো সংস্কারের হাত লাগেনি।

থানার সামনে চিরচেনা জব্দ করা গাড়ির জঞ্জাল আর চোখে পড়েনি। কারণ সেগুলো পুড়িয়ে দেওয়ার পর লুট হয়ে যায়।

এক পাশে পড়ে রয়েছে হাতে গোনা কয়েকটি ভাঙাচোরা মোটরসাইকেলের কঙ্কাল।সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, এখনো আনসার সদস্যদের পাহারায় থানার কার্যক্রম চলছে। ওসি তদন্ত ও অপারেশন যোগ দিলে কাজে আরো গতি আসবে বলে মনে করছেন তাঁরা। সরকার পতনের পর পুলিশ যখন জনতার রোষানলে পড়ে তখন অন্যান্য থানার মতো এই থানারও দুটি অস্ত্র লুট হয়ে যায়। অস্ত্র দুটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

থানার দায়িত্বরত একজন সদস্য জানান, ৫ আগস্ট বিকেলের পর থানার জব্দ করা সব গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে চলে লুটপাট।

অনেকে মিস্ত্রি নিয়ে এসেও গাড়ির পার্টস খুলে নিয়ে গেছে। এ ছাড়া আন্দোলনের সময় এই থানার ওসির ব্যবহৃত গাড়িটিও ভাঙচুরের পর পুড়িয়ে দেওয়া হয়।

থানার ওসি মুহাম্মদ আজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা নিয়মিত নাগরিকদের সব ধরনের আইনি সেবা দিচ্ছি।

এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনাগুলোর সংস্কারকাজ চলছে। আশা করি, কিছুদিনের মধ্যে সার্বিক দিক স্বাভাবিক হয়ে আসবে।’

আন্দোলন ঘিরে এ থানায় কতটি মামলা করা হয়েছে, জানতে চাইলে ওসি জানান, একটি রাজনৈতিক মামলা হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য নিয়মিত মামলাও হচ্ছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার পদের একজন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হামলা, আগুন ও
লুটপাটে ক্ষতিগ্রস্ত বেশির ভাগ থানার কার্যক্রম এখন স্বল্প পরিসরে চলছে। কোনো কোনো থানার পুলিশ অন্য থানায় ছোট পরিসরে কাজ করছেন। অন্যদিকে নিজস্ব ভবনে চলছে সংস্কারকাজ।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

খিলক্ষেত থানা ভবনজুড়ে ধ্বংসলীলার চিহ্ন

আপডেট টাইম : ০৫:২১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ৫ আগস্ট বিকেল থেকে দেশের বিভিন্ন থানায় হামলা ও লুট করা হয়। এ ছাড়া আগুন দেওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে থানাগুলো। তার মধ্যে ছিল রাজধানীর খিলক্ষেত থানা। এই থানার সব জব্দ করা গাড়ি ও মামলার আলামত পুড়িয়ে দেওয়া হয়, এরপর লুট করা হয়।

গত সোমবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আগুনের ক্ষতচিহ্ন আর কালচে রং রয়েছে পুরো থানা ভবনেই।

জানা যায়, এখনো থানার ওসি তদন্ত ও অপারেশন পদে পদায়ন হয়নি। তাঁদের কক্ষগুলো সংস্কার করা হচ্ছে।

ওসিসহ অন্যরা যেসব কক্ষে বসেছেন, সেগুলো ধোয়ামোছা করে কোনো রকমে বসার উপযোগী করা হয়েছে।

কক্ষগুলোতে প্রয়োজনীয় আসবাব নেই। দ্বিতীয় তলার স্টোররুম ও সদস্যদের থাকার জায়গাগুলোতে এখনো সংস্কারের হাত লাগেনি।

থানার সামনে চিরচেনা জব্দ করা গাড়ির জঞ্জাল আর চোখে পড়েনি। কারণ সেগুলো পুড়িয়ে দেওয়ার পর লুট হয়ে যায়।

এক পাশে পড়ে রয়েছে হাতে গোনা কয়েকটি ভাঙাচোরা মোটরসাইকেলের কঙ্কাল।সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, এখনো আনসার সদস্যদের পাহারায় থানার কার্যক্রম চলছে। ওসি তদন্ত ও অপারেশন যোগ দিলে কাজে আরো গতি আসবে বলে মনে করছেন তাঁরা। সরকার পতনের পর পুলিশ যখন জনতার রোষানলে পড়ে তখন অন্যান্য থানার মতো এই থানারও দুটি অস্ত্র লুট হয়ে যায়। অস্ত্র দুটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

থানার দায়িত্বরত একজন সদস্য জানান, ৫ আগস্ট বিকেলের পর থানার জব্দ করা সব গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে চলে লুটপাট।

অনেকে মিস্ত্রি নিয়ে এসেও গাড়ির পার্টস খুলে নিয়ে গেছে। এ ছাড়া আন্দোলনের সময় এই থানার ওসির ব্যবহৃত গাড়িটিও ভাঙচুরের পর পুড়িয়ে দেওয়া হয়।

থানার ওসি মুহাম্মদ আজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা নিয়মিত নাগরিকদের সব ধরনের আইনি সেবা দিচ্ছি।

এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনাগুলোর সংস্কারকাজ চলছে। আশা করি, কিছুদিনের মধ্যে সার্বিক দিক স্বাভাবিক হয়ে আসবে।’

আন্দোলন ঘিরে এ থানায় কতটি মামলা করা হয়েছে, জানতে চাইলে ওসি জানান, একটি রাজনৈতিক মামলা হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য নিয়মিত মামলাও হচ্ছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার পদের একজন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হামলা, আগুন ও
লুটপাটে ক্ষতিগ্রস্ত বেশির ভাগ থানার কার্যক্রম এখন স্বল্প পরিসরে চলছে। কোনো কোনো থানার পুলিশ অন্য থানায় ছোট পরিসরে কাজ করছেন। অন্যদিকে নিজস্ব ভবনে চলছে সংস্কারকাজ।